জনপ্রিয় ফলগুলোর একটি আনারস। ফলটি মিষ্টি, রসালো ও তৃপ্তিকর। সবচেয়ে বড়কথা পুষ্টিগুণে ভরা এ ফলটি। অসংখ্য গুণে গুনান্বিত এই ফলে খেয়ে যেমন শরীরে পানির চাহিদা মেটানো যায় তেমনি বাড়তি পুষ্টিগুণ পেতে জুড়ি নেই এর।
এ ফলটিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, সি, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং পটাশিয়াম রয়েছে। এ ছাড়া এ ফলটিতে প্রচুর পরিমাণ আঁশ ও ক্যালোরি রয়েছে। এটি কলস্টেরল ও চর্বিমুক্ত। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এ ফলের জুড়ি নেই।
আনারস বর্ষাকালীন ফল হলেও এখন প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়। এটি মানব দেহের জন্য অনেক উপকারি। আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, সি, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং পটাশিয়াম। এ ছাড়া এ ফলটিতে প্রচুর পরিমাণ আঁশ ও ক্যালোরি রয়েছে। এটি কলস্টেরল ও চর্বিমুক্ত। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এ ফলের জুড়ি নেই।
মৌসুমী ফলের নানা গুণ। আর সেটা যদি হয় আনারস তাহলে তো কথাই নেই। অসংখ্য গুণে গুনান্বিত এই ফলে খেয়ে যেমন শরীরে পানির চাহিদা মেটানো যায় তেমনি বাড়তি পুষ্টিগুণ পেতে জুড়ি নেই এর। এই গরমে তাই খাদ্য তালিকায় যুক্ত হোক আনারস।
ব্যবহারঃ কাঁচা আনারস স্বাদে টক এবং পাকা আনারস টক মিষ্টি হয়ে থাকে। আমাদের দেশে সাধারণত পাকা আনারস খাওয়া হয়। তবে কেউ কেউ কাঁচা আনারসের চাটনি তৈরি করে থাকেন। আনারস টিনজাত ফল হিসেবেও সংরক্ষণ করা হয়, এবং এই ধরনের আনারসের চাহিদা দেশ-বিদেশের বাজারে খুব বেশি। আনারস দিয়ে জ্যাম, জেলি, স্কোয়াশ, রস প্রভৃতি তৈরি হয় এবং তা বিদেশে প্রক্রিয়াজাত করা হয়। এছাড়া আনারস থেকে কোনো কোনো সময় অ্যালকোহল ভিনেগার, সাইট্রিক এসিড উৎপাদন করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের খাবার রান্নায় ও সালাদে আনারসের ব্যবহার তো আছেই।
মৌসুমী ফলের নানা গুণ। আর সেটা যদি হয় আনারস তাহলে তো কথাই নেই। অসংখ্য গুণে গুনান্বিত এই ফলে খেয়ে যেমন শরীরে পানির চাহিদা মেটানো যায় তেমনি বাড়তি পুষ্টিগুণ পেতে জুড়ি নেই এর। এই গরমে তাই খাদ্য তালিকায় যুক্ত হোক আনারস।
জেনে নিই আনারসের ৭টি উপকারিতা-
>>> পুষ্টির অভাব দূর করে: আনারস পুষ্টির বেশ বড় রএকটি উৎস। আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস। এসব উপাদান আমাদের দেহের পুষ্টির অভাব পূরণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
>>> ওজন নিয়ন্ত্রণে: শুনতে অবাক লাগলেও আনারস আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে। কারণ আনারসে প্রচুর ফাইবার এবং অনেক কম ফ্যাট রয়েছে। সকালে আনারস বা সালাদ হিসেবে এর ব্যবহার অথবা আনারসের জুস অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর।
>>> হাড় গঠনে: আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ। ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং ম্যাঙ্গানিজ হাড়কে করে তোলে মজবুত। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় পরিমিত পরিমাণ আনারস রাখলে হাড়ের সমস্যাজনিত যে কোনও রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
>>> দাঁত ও মাড়ি সুরক্ষায়: আনারসের ক্যালসিয়াম দাঁতের সুরক্ষায় কাজ করে। মাড়ির যে কোনো সমস্যা সমাধান করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন আনারস খেলে দাঁতে জীবাণুর আক্রমণ কম হয় এবং দাঁত ঠিক থাকে।
>>> চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায়: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, আনারস ম্যাক্যুলার ডিগ্রেডেশন হওয়া থেকে আমাদের রক্ষা করে। এ রোগটি আমাদের চোখের রেটিনা নষ্ট করে দেয় এবং আমরা ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যাই। আনারসে রয়েছে বেটা ক্যারোটিন। প্রতিদিন আনারস খেলে এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। এতে সুস্থ থাকে আমাদের চোখ।
>>> হজমশক্তি বাড়ায়: আনারস আমাদের হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে বেশ কার্যকরী।
আনারসে রয়েছে ব্রোমেলিন, যা আমাদের হজমশক্তিকে উন্নত করতে সাহায্য করে। বদহজম বা হজমজনিত যে কোনো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন আনারস খাওয়া অত্যন্ত জরুরি।
>>> রক্ত জমাটে বাধা দেয়: দেহে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয় এই ফল। ফলে শিরা-ধমনির (রক্তবাহী নালি) দেয়ালে রক্ত না জমার জন্য সারা শরীরে সঠিকভাবে রক্ত যেতে পারে। হৃদপিণ্ড আমাদের শরীরে অক্সিজেনযুক্ত রক্ত সরবরাহ করে। আনারস রক্ত পরিষ্কার করে হৃদপিণ্ডকে কাজ করতে
সাহায্য করে।
ভালো লাগলে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করে অন্যকে জানার সুযোগ করে দিন। মানব সেবায় এগিয়ে আসুন।
Comments
Post a Comment