Skip to main content

বিপদ আপনার দোড়-গোড়ায়...... তেলাপোকা থেকে সাবধান !

তেলাপোকা থেকে সাবধান!
তেলাপোকা এক ধরনের ক্ষতিকর পোকা। যাবতীয় ময়লা আবর্জনা ও অন্ধকারে বাস, সহজে অভিযোজন করতে পারে বলে এরা পাঁচ কোটিরও বেশি বছর যাবৎ টিকে আছে।
বেশিরভাগ নারীরাই তেলাপোকা বা আরশোলা দেখে ভয় পান।  আমিও তেলাপোকাকে ভয় পাই। তবে শরীরে বসা বা কামড়ের ভয় নয়, ভয় অন্য কারণে। তেলাপোকা যে অনেক রোগের বাহক! নানা রকমের পেটের পীড়া, আমাশয়, ডায়রিয়া, খাদ্যে বিষক্রিয়া, টাইফয়েড, লিভারের প্রদাহ-জন্ডিস, পোলিও—কত রোগের জীবাণুরই না বাহক তেলাপোকা!
তেলাপোকা মূলত সর্বভুক। তবে খাবারের ময়লা-আবর্জনা আর বাথরুমের ময়লাই এদের প্রিয় খাবার। এসব ময়লা-আবর্জনা থেকে এদের গায়ে লেগে যায় নানা জীবাণু। পেটের ভেতরেও ঢুকে যায় অজস্র। তারপর রাতের আঁধারে যখন বসে কোনো খাবারের ওপর, তখন তেলাপোকার পা-পাখা-শরীর থেকে খাবারে লেগে যায় অসংখ্য জীবাণু। তা ছাড়া, খাবারের ওপর ঘোরাফেরা করার সময় খাবার খাওয়ার পাশাপাশি খাবারের ওপর মলত্যাগ আর বমিও করে তেলাপোকা। তেলাপোকার এসব মল আর বমির মাধ্যমেও খাবারে মিশে যায় হাজারো জীবাণু। জীবাণুমিশ্রিত এসব দূষিত খাবার খেলেই হয় নানা অসুখ। এ ছাড়া তেলাপোকার শরীর থেকে খসে যাওয়া ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ আর ঘরের ধুলোবালিতে মিশে থাকা তেলাপোকার শুকনো মল হতে পারে হাঁপানির কারণ। আমাদের বাড়িঘরের রান্নাঘরে লুকোনো স্থানেই এদের বসবাস বেশি। দিনের বেলায় লুকিয়ে থাকে রান্নাঘরের বেসিনের নিচে, ময়লার বালতিতে, খাবার রাখার আলমারিতে (মিটসেফ) রাখা জিনিসের ফাঁকে ফাঁকে, আলমারির পেছনে, ফ্রিজের পেছনে। এ ছাড়া থাকে বাথরুমের প্যানের গভীরে, বাসাবাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়া মলের বা ময়লার পানির পাইপে। থাকে বইয়ের আলমারিতে বইয়ের ফাঁকে। খাটের বাক্সে। যেকোনো অন্ধকার লুকোনো স্থানে। এসব জায়গা থেকে রাতের আঁধার বের হয়ে আসে। রাতে রান্না ঘরের মেঝে বা খাবার টেবিলে, খাবারের উচ্ছিষ্ট থাকলে, বেসিনে এঁটো থালাবাসন রেখে দিলে তাতে রোগ জীবাণু বংশবৃদ্ধি করে। আর এসব খাবার খেতে থাকে তেলাপোকা। বাহক হয় নানা জীবাণুর।
রাতে খাবার টেবিলে খাবারের উচ্ছিষ্ট যেন না থাকে। পরদিন সকালে ধোয়ার আশায় রাতভর বেসিনে যেন না থাকে এঁটো থালাবাসন পরিষ্কার রাখতে হবে, তেলাপোকা লুকিয়ে থাকতে পারে এমন সব জায়গা ...রান্নাঘরের মেঝে ও বেসিন রাখতে হবে ঝকঝকে তকতকে। ঢেকে রাখতে হবে রান্নাঘরের ময়লার বালতি। পরিষ্কার করতে হবে প্রতিদিন। রান্নাঘরের দা, বঁটি, কাটিং বোর্ড ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার রাখতে হবে। মিটসেফ পরিষ্কার করতে হবে প্রতি সপ্তাহেই। টেবিলের ড্রয়ার, খাটের বাক্স, বুকসেলফ—প্রতি সপ্তাহেই নজরদারি করতে হবে। খাবার-দাবার রাখতে হবে ফ্রিজে। বাইরে রাখলে অবশ্যই ঢেকে রাখতে হবে। বাথরুম রাখতে হবে পরিষ্কার। বেশি উপদ্রব হলে তেলাপোকা মারার চক বা অন্য ওষুধ ব্যবহার করতে হবে মাঝে মধ্যে।
তেলাপোকা মারার জাদুকরি কৌশল গুলো জেনে নিন......
 স্বাস্থ্য বিষয়ক এক প্রতিবেদনে জানানো হয় বাজারে সহজলভ্য তেলাপোকা মারার স্প্রেগুলো ব্যবহারের সময় শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। পোকা মারার ওষুধ ও ফাঁদগুলোও বেশ বিপজ্জনক, বিশেষ করে পোষা প্রাণী ও শিশুদের জন্য।তাই তেলাপোকার উপদ্রব থেকে বাঁচতে ঘরোয়া উপায় বেছে নেওয়াই সবচাইতে নিরাপদ।তাই তেলাপোকার উপদ্রব থেকে বাঁচতে ঘরোয়া উপায় বেছে নেওয়াই সবচাইতে নিরাপদ।

শশা:  একটি টিনের কৌটয় কাটা শশা ভরে মুখ খুলে রেখে দিন। তেলাপোকা চলে যাবে। তবে দিনের পর দিন রাখবেন না। তাতে মাছির উপদ্রব শুরু হবে।
ন্যাপথলিন: তেলাপোকা তারানোর খুব কার্যকরী একটি পদ্ধতি এটা।যেসব স্থানে এরা বসবাস করে এর প্রত্যেকটা স্থানে ন্যাপথলিন ছিটিয়ে দিয়ে রাখুন।দেখবেন কয়েক দিনের মধ্যে তেলাপোকা কমে গেছে।
বোরাক্স ও চিনি: পোকামাকড়ের বাইরের খোলসে পানিশূন্যতা সৃষ্টির মাধ্যমে এদেরকে তিলে তিলে মারে বোরাক্স পাউডার। আর চিনি পোকামাকড়কে লোভ দেখিয়ে বাইরে বের করে আনে।
নিম:এর কড়া গন্ধ ও অন্যান্য উপাদান তেলাপোকা তাড়াতে সহায়ক। কয়েকটি তুলার বল নিমের তেলে ডুবিয়ে তেলাপোকা আছে এমন জায়গাগুলোতে রেখে দিতে হবে।
       এছাড়াও, নিজেই বানিয়ে নিতে পারেন তেলাপোকার মারার স্প্রে। এজন্য গরম পানিতে এক টেবিল-চামচ নিম পাউডার মিশিয়ে নিলেই হয়ে গেল। রাতে স্প্রেটি তেলাপোকা যেখানে থাকতে পারে সেখানে ছিটিয়ে রাখতে হবে।

ভালো লাগলে লাইক দিয়ে সাথে থাকুন...... শেয়ার করে অন্যকে জানার সুযোগ করে দিন।

Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

আপনি কি জাম্বুরার উপকারিতা জানেন !!! .... জানলে অবাক না হয়ে পারবেন না।

জাম্বুরা ভিটামিন সমৃদ্ধ ফল। এর পুষ্টিমান অনেক উন্নত। প্রতি ১০০ গ্রাম জাম্বুরার মধ্যে আছে ৩৭ কিলো ক্যালোরি, শর্করা ৯.২ গ্রাম, মুক্ত চিনি থাকে ৭ গ্রাম, সামান্য খাদ্যআঁশ, প্রোটিন ও ফ্যাট বিদ্যমান। বিটা ক্যারোটিনের পরিমাণ ১২০ মি.লি. গ্রাম, ভিটামিন ৬০ গ্রাম, ভিটামিন ‘বি’ও থাকে। ফলটিতে ক্যালরি কম থাকায় ডায়াবেটিস ও স্থুলকায়দের জন্য খুবই উপকারী। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফলটির দামও সাধ্যের মধ্যে। জাম্বুরাতে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। হাল্কা টক স্বাদের সুস্বাদু এই ফল ফলটি অত্যন্ত পুষ্টিকর। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে গেলেও এই ফল পাবেন ভারত, চীন, জাপান, ফিজি, দক্ষিণ আফ্রিকা, এমনকি আমেরিকাতেও। তবে আলাদা আলাদা যায়গায় আপনি আলাদা আলাদা রকমের বাতাবী লেবু পাবেন। কোথাও কোথাও জাম্বুরার ভেতরের রসাল কোষগুলো হলুদ আবার কোথাও লাল বা গোলাপি হয়ে থাকে। তবে জাম্বুরার ভেতরের রসাল কোষগুলোর ঘনত্ব বেশি তাই খুব সহজেই এসব দিয়ে রস বা জুস তৈরি করা যায়। আজকে জানুন জাম্বুরা আমাদের কত উপকারী।     >>>  এতে আছে প্রচুর ভিটামিন সি তাই রক্তনালীর সংকোচন প্রসারণ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।     >>>   ডায

কোমড় ব্যথা !!! সাবধান হোন

সাধারণত কোমরের নিচের দিকে ব্যথা অনুভূত হয়। আমাদের দেহে ২৯টি মেরুদণ্ডের হাড় আছে, যার মধ্যে কোমরে আছে পাঁচটি। এই পাঁচটি হাড় থেকে আবার ছয় জোড়া নার্ভ শরীরের নিচের অংশে থাকে। সাধারণত এই অংশটিতে যদি কোনো সমস্যা দেখা দেয়, তাহলেই কোমর ব্যথা হয়। ৪০ শতাংশ মানুষ জীবনে কোনো না কোনো সময়ে কোমর ব্যথা বা ব্যাকপেইনে ভুগে থাকেন। মেরুদণ্ডের হাড়, সংযোগকারী তরুণাস্থি, লিগামেন্ট, মাংসপেশি, মেরুদণ্ডের ভেতর স্নায়ুরজ্জু বা স্পাইনাল কর্ড—এসবের যেকোনো সমস্যায় ব্যথার উৎপত্তি ঘটে। মেয়েদের ডিম্বাশয় ও জরায়ু এবং পুরুষদের প্রস্টেট গ্রন্থির সমস্যায় এবং যে কারও কিডনির জটিলতায় কোমর ব্যথা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। হাড় ক্ষয়, হাড়ে সংক্রমণ বিশেষ করে যক্ষ্মা বা ক্যানসারও হতে পারে কোমর ব্যথার উৎস। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কোমরের মেরুদণ্ডের আশপাশের লিগামেন্ট বা মাংসপেশিতে টান পড়ার কারণে আকস্মিক কোমর ব্যথা দেখা দেয়। ভারী কাজ করতে গিয়ে বা ওজন বহন করতে গিয়ে কিংবা অজান্তে বেকায়দায় কিছু করতে গিয়ে এই সমস্যার উদ্ভব হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কয়েক দিনের পূর্ণ বিশ্রাম ও কিছু ব্যথানাশক বা পেশি শিথিল করে এমন ওষুধই এই সমস্যা থেকে