Skip to main content

সুস্বাস্থ্য পেতে আপনার করণীয়........

সুস্বাস্থ্য ও মেদহীন শরীর আমাদের সকলের কাম্য। কিন্তু সেটা অর্জন করতে একটু পরিশ্রম তো করতে হবেই। এছাড়া আমাদের অসচেতনেতার কারণে সুস্বাস্থ্য রয়ে যায় হাতের নাগালের বাইরে। যেমন ধরুন, সকালে নাস্তার আগে কী করতে হবে? অবশ্যই দাঁত ব্রাশ, অন্তত এমন জবাবটাই দেবেন সবাই। কিন্তু জানেন কি? দাঁত ব্রাশ করার পর্বটি নাশতার আগে নয় বরং নাশতার পরে করলেই ভালো। আর এতেই সুস্থ থাকবে আপনার দাঁত। এছাড়াও সুস্বাস্থ্য পেতে রয়েছে আরো কিছু উপায়।
সবাই চায় নিজের সুগঠিত ও কার্যক্ষম শরীর। এই প্রত্যাশা পূরণ সহজ কাজ নয়। সে কারণে নিজের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে কিছু হেলথ টিপস মেনে চলা উচিত। জেনে নিন সুস্বাস্থ্যের জন্য সেরা  হেলথ টিপস।

>>>  সকাল বেলার নাস্তা করতে কখনওই ভুল করবেন না। সারাদিন কর্মক্ষম থাকার শক্তি অর্জনের জন্য সকালের নাস্তার বিকল্প নেই। নাস্তা হিসাবে টোস্ট, ফলমূল, শাকসবজি, পনির কিংবা দুধ জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করতে পারেন।

>>> প্রতিবেলার খাবারে ভাত – তরকারীর উপর ঝাঁপিয়ে না পড়ে সবজি এবং ফলমূল খেতে অভ্যাস করুন। এইসব খাবার প্রচুর ভিটামিন, মিনারেল এবং শ্বাসতন্ত্রু দ্বারা পরিপূর্ণ থাকে। প্রতিদিন দুই কাপ ফল এবং আড়াই কাপ শাকসবজি খাওয়া উচিত।

>>> সুস্বাস্থ্যের জন্য সুনির্দিষ্ট পরিমাণ প্রোটিন গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং চাহিদা মোতাবকে প্রোটিন গ্রহণের প্রোটিনযুক্ত খাবার গ্রহন করুন যেমনঃ মাংস, ফ্যাটবিহীন দুধ, ফলমূল ইত্যাদি।

 >>> শারিরীক পরিশ্রম করলে শরীরের ওজন ঠিক থাকে, উচ্চ রক্তচাপ কমে যায়। শিশু এবং কিশোর বয়সীদের দিনে এক ঘন্টা এবং বয়স্ক লোকদের আড়াই ঘন্টা দিনে ব্যায়াম কিংবা অন্য শারিরীক কাজ করা উচিত।

>>>.প্রতিবেলা খাবারের বাইরে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা দরকার। আপেল, বাদাম, মাখন জাতীয় খাবার যেসব প্রোটিন, কার্বহাইড্রেট বেশি পরিমাণ থাকে সেসব খাবার গ্রহণ করুন।

>>> .খাদ্যের গুণাগুণ সম্পর্কে সচেতন থাকুন। অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার বর্জন করে কম চর্বি যুক্ত খাবার গ্রহণ করুন। বেশি ক্যালরি যুক্ত খাবার গ্রহণ করুন।

>>> .বাসার বাইরে ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার গ্রহণ করার চেয়ে বাসায় রান্না করা খাবার গ্রহণে আগ্রহী হোন।

>>> .রেস্টুরেন্টে খাবার গ্রহণের সময় পুষ্টিকর খাবারের দিকে নজর দিন। শাকসবজি, মুরগীর মাংস, মাছ, ফলমূল অর্ডার দিন।

>>> .পরিবারের সকল সদস্য একসাথে খেতে বসুন। গবেষণায় দেখা গেছে পরিবারের সদস্যরা এক সাথে খেলে খাদ্যের পুষ্টিমান নিশ্চিত হওয়ার সাথে মন মানসিকতাও ভালো থাকে। খাবার গ্রহণের সময় অবশ্যই টিভি বন্ধ রাখুন, টেলিফোন বন্ধ রাখুন।

>>> .শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, পেশীতে অক্সিজেন প্রবাহের জন্য পানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। প্রতিদিন পুরুষদের ১৩ কাপ এবং নারীদের ৯ কাপ পানি খাওয়া উচিত।

 পেট বা লিভারের সমস্যা আছে যাদের
এমন সমস্যা থাকলে সকালে নাস্তার আগে খালি পেটে অবশ্যই এক কোয়া রসুন খান। আপনি চাইলে চিবিয়ে খেতে পারেন। চাইলে পানি দিয়ে গিলেও খেতে পারেন। খালি পেটে রসুন খাওয়া হাইপারটেনশন ও স্ট্রেস কমাতে সহায়তা করে, অন্যদিকে হজমের গণ্ডগোল রোধ করে।

স্ট্রেস থেকে পেটে গ্যাসের সমস্যা হলে সেটাও প্রতিরোধ করে খালি পেটে রসুন। অন্যদিকে পেটের গণ্ডগোল জনিত অসুখ, যেমন ডায়রিয়া হলে এই খালি পেটে রসুন দ্রুত তা সারিয়ে দেয়। সকালে খালি পেটে রসুন খাওয়া শরীরের রক্ত পরিশুদ্ধ করে ও লিভারের ফাংশন ভালো রাখতেও সহায়তা করে।   

ভালো লাগলে লাইক ‍দিয়ে সাথে থাকুন... শেয়ার করে অন্যকে জানার সুযোগ করে দিন।

Comments

Popular posts from this blog

বিপদ আপনার দোড়-গোড়ায়...... তেলাপোকা থেকে সাবধান !

তেলাপোকা থেকে সাবধান! তেলাপোকা এক ধরনের ক্ষতিকর পোকা। যাবতীয় ময়লা আবর্জনা ও অন্ধকারে বাস, সহজে অভিযোজন করতে পারে বলে এরা পাঁচ কোটিরও বেশি বছর যাবৎ টিকে আছে। বেশিরভাগ নারীরাই তেলাপোকা বা আরশোলা দেখে ভয় পান।  আমিও তেলাপোকাকে ভয় পাই। তবে শরীরে বসা বা কামড়ের ভয় নয়, ভয় অন্য কারণে। তেলাপোকা যে অনেক রোগের বাহক! নানা রকমের পেটের পীড়া, আমাশয়, ডায়রিয়া, খাদ্যে বিষক্রিয়া, টাইফয়েড, লিভারের প্রদাহ-জন্ডিস, পোলিও—কত রোগের জীবাণুরই না বাহক তেলাপোকা! তেলাপোকা মূলত সর্বভুক। তবে খাবারের ময়লা-আবর্জনা আর বাথরুমের ময়লাই এদের প্রিয় খাবার। এসব ময়লা-আবর্জনা থেকে এদের গায়ে লেগে যায় নানা জীবাণু। পেটের ভেতরেও ঢুকে যায় অজস্র। তারপর রাতের আঁধারে যখন বসে কোনো খাবারের ওপর, তখন তেলাপোকার পা-পাখা-শরীর থেকে খাবারে লেগে যায় অসংখ্য জীবাণু। তা ছাড়া, খাবারের ওপর ঘোরাফেরা করার সময় খাবার খাওয়ার পাশাপাশি খাবারের ওপর মলত্যাগ আর বমিও করে তেলাপোকা। তেলাপোকার এসব মল আর বমির মাধ্যমেও খাবারে মিশে যায় হাজারো জীবাণু। জীবাণুমিশ্রিত এসব দূষিত খাবার খেলেই হয় নানা অসুখ। এ ছাড়া তেলাপোকার শরীর থেকে খসে যাওয়া ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ আ

আপনি কি জাম্বুরার উপকারিতা জানেন !!! .... জানলে অবাক না হয়ে পারবেন না।

জাম্বুরা ভিটামিন সমৃদ্ধ ফল। এর পুষ্টিমান অনেক উন্নত। প্রতি ১০০ গ্রাম জাম্বুরার মধ্যে আছে ৩৭ কিলো ক্যালোরি, শর্করা ৯.২ গ্রাম, মুক্ত চিনি থাকে ৭ গ্রাম, সামান্য খাদ্যআঁশ, প্রোটিন ও ফ্যাট বিদ্যমান। বিটা ক্যারোটিনের পরিমাণ ১২০ মি.লি. গ্রাম, ভিটামিন ৬০ গ্রাম, ভিটামিন ‘বি’ও থাকে। ফলটিতে ক্যালরি কম থাকায় ডায়াবেটিস ও স্থুলকায়দের জন্য খুবই উপকারী। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফলটির দামও সাধ্যের মধ্যে। জাম্বুরাতে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। হাল্কা টক স্বাদের সুস্বাদু এই ফল ফলটি অত্যন্ত পুষ্টিকর। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে গেলেও এই ফল পাবেন ভারত, চীন, জাপান, ফিজি, দক্ষিণ আফ্রিকা, এমনকি আমেরিকাতেও। তবে আলাদা আলাদা যায়গায় আপনি আলাদা আলাদা রকমের বাতাবী লেবু পাবেন। কোথাও কোথাও জাম্বুরার ভেতরের রসাল কোষগুলো হলুদ আবার কোথাও লাল বা গোলাপি হয়ে থাকে। তবে জাম্বুরার ভেতরের রসাল কোষগুলোর ঘনত্ব বেশি তাই খুব সহজেই এসব দিয়ে রস বা জুস তৈরি করা যায়। আজকে জানুন জাম্বুরা আমাদের কত উপকারী।     >>>  এতে আছে প্রচুর ভিটামিন সি তাই রক্তনালীর সংকোচন প্রসারণ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।     >>>   ডায

কোমড় ব্যথা !!! সাবধান হোন

সাধারণত কোমরের নিচের দিকে ব্যথা অনুভূত হয়। আমাদের দেহে ২৯টি মেরুদণ্ডের হাড় আছে, যার মধ্যে কোমরে আছে পাঁচটি। এই পাঁচটি হাড় থেকে আবার ছয় জোড়া নার্ভ শরীরের নিচের অংশে থাকে। সাধারণত এই অংশটিতে যদি কোনো সমস্যা দেখা দেয়, তাহলেই কোমর ব্যথা হয়। ৪০ শতাংশ মানুষ জীবনে কোনো না কোনো সময়ে কোমর ব্যথা বা ব্যাকপেইনে ভুগে থাকেন। মেরুদণ্ডের হাড়, সংযোগকারী তরুণাস্থি, লিগামেন্ট, মাংসপেশি, মেরুদণ্ডের ভেতর স্নায়ুরজ্জু বা স্পাইনাল কর্ড—এসবের যেকোনো সমস্যায় ব্যথার উৎপত্তি ঘটে। মেয়েদের ডিম্বাশয় ও জরায়ু এবং পুরুষদের প্রস্টেট গ্রন্থির সমস্যায় এবং যে কারও কিডনির জটিলতায় কোমর ব্যথা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। হাড় ক্ষয়, হাড়ে সংক্রমণ বিশেষ করে যক্ষ্মা বা ক্যানসারও হতে পারে কোমর ব্যথার উৎস। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কোমরের মেরুদণ্ডের আশপাশের লিগামেন্ট বা মাংসপেশিতে টান পড়ার কারণে আকস্মিক কোমর ব্যথা দেখা দেয়। ভারী কাজ করতে গিয়ে বা ওজন বহন করতে গিয়ে কিংবা অজান্তে বেকায়দায় কিছু করতে গিয়ে এই সমস্যার উদ্ভব হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কয়েক দিনের পূর্ণ বিশ্রাম ও কিছু ব্যথানাশক বা পেশি শিথিল করে এমন ওষুধই এই সমস্যা থেকে