বহুদিন ধরেই হৃদরোগ পুরুষদের রোগ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। কারণ এর আগের
অনেক গবেষণায় দেখা গেছে নারীদের দেহে এসট্রোজেন নামে একটি হরমোন রয়েছে যা
প্রাকৃতিকভাবেই হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। তবে বর্তমানে মানুষের লাইফ স্টাইল
পুরোপুরি বদলে যাওয়ায় নারী-পুরুষ উভয়েই সমভাবে হৃদরোগের ঝুঁকিতে রয়েছেন।
হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, জ্ঞানের স্বল্পতার কারণেই পরিস্থিতি প্রায়ই
নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়।
এখন যে কোন বয়সের মানুষের হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা রয়েছে। বুকে ব্যথা ছাড়াও কিছু লক্ষণ আছে যা হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে।
>>> বুকে বা বাহুতে ব্যথা হৃদরোগের অন্যতম লক্ষণ। তবে
শুধু বুকে ব্যথা হলেই হৃদরোগ বলা যায় না। বাহু, চোয়ালের পিছন দিক এবং গলায়
চিনচিনে ব্যথা হতে পারে।
>>> অনেক সময় অনেকে বলে থাকেন বুকে জ্বালাপোড়া করার কথা। এমনটা হলে সাবধান হোন। কেননা এটিও হৃদরোগের অন্যতম লক্ষণ হতে পারে।
>>> হৃদরোগে আক্রান্ত হলে ঘনঘন শ্বাস-প্রশ্বাস ওঠানামা করে। অনেক সময় রোগী ঘামতে থাকে। এমনটা প্রবল শীতেও হতে পারে।
>>> হৃদরোগ সবসময় হঠাৎ করে হবে এমনটা নয়। অনেক সময়
হৃদরোগ ধীরে ধীরে মানুষের হৃদযন্ত্রকে ব্লক করে দেয়। এ ধরনের হৃদরোগকে
‘মায়োকার্ডিয়াল ইনফারকশন’ বা হার্ট অ্যাটাক বলে। এ ক্ষেত্রে প্রবল
অস্বস্তিকর অনুভ‚তি অন্যতম লক্ষণ।
>>> তীব্র বমির অনুভুতিও হার্ট অ্যাটাকের একটি ছদ্মবেশী পূর্বলক্ষণ। তবে
এটাকেও অনেকসময় ভুলবশত গ্যাস্ট্রিক ও বদহজমের কারণে সৃষ্ট সমস্যা হিসেবে
গণ্য করা হয়।
>>> হার্ট অ্যাটাকের আরও কয়েকটি পূর্ব লক্ষণ হল- অকারণ অবসাদগ্রস্ততা, বিবর্ণতা, ধড়ফড়ানি ও উদ্বিগ্নতা।
ভালো লাগলে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন..... শেয়ার করে অন্যকে জানিয়ে বিপদ হতে রক্ষা পেতে সাহায্য করুন....
ভালো লাগলে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন..... শেয়ার করে অন্যকে জানিয়ে বিপদ হতে রক্ষা পেতে সাহায্য করুন....
Comments
Post a Comment